Blog
Rofiqul Hassan Rupam
  • April 8, 2025

বর্তমানে মার্কেটিং কেবল প্রচার নির্ভর নয়, এটি এখন পকেট-কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ, আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে গ্রাহকের মোবাইল স্ক্রিনে পৌঁছানো। ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে পকেটে পৌঁছানো সহজ, কিন্তু সেই পকেট থেকে গ্রাহকের হৃদয়ে পৌঁছানোই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ জয় করার দায়িত্ব বর্তায় কনটেন্টের উপর।

একটি ভালো পণ্য বা সেবা কেবলমাত্র তার গুণগত মানের উপর নির্ভর করলেই সফলতা আসে না। সেই পণ্য বা সেবার সঠিক বার্তা, উপস্থাপন কৌশল এবং সময়োপযোগী কনটেন্টই পারে গ্রাহকের মনে জায়গা করে নিতে।

অনেকেই এখনো "লাগাও বুস্ট" ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রোপার রোডম্যাপ ছাড়া কেবল বুস্টিং দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ডিপ মার্কেট অ্যানালাইসিস, টার্গেট অডিয়েন্সের সঠিক বোঝাপড়া এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পিত কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি।

সুতরাং, আধুনিক মার্কেটিং কৌশলে শুধু ডিজিটাল উপস্থিতি নয়, বরং কনটেন্টের গভীরতা, প্রাসঙ্গিকতা এবং মানবিক সংযোগই পারে একটি ব্র্যান্ডকে টেকসইভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে।

 

আগের দিনে মার্কেটিং ছিল "সিম্পল, কিন্তু ইনটেন্স

ডিজিটাল যুগ আসার আগে মার্কেটিংয়ের মূল ভরসা ছিল অফলাইন টুলস। তখন পণ্যের প্রচার হতো বেশ কিছু নির্দিষ্ট ও প্রভাবশালী মাধ্যমে:

সেই সময়ের প্রচারের প্রধান টুলস:

  • টেলিভিশন বিজ্ঞাপন: একবারের ইনভেস্টমেন্টে কোটি মানুষের মনে পৌঁছানোর সুযোগ। যেমন, Pepsi বা Coca-Cola-র ৯০ এর দশকের বিজ্ঞাপনগুলো এখনো অনেকের মনে গেঁথে আছে।
  • রেডিও ও পত্রিকা: শহর থেকে শুরু করে গ্রামের মেলা পর্যন্ত, পত্রিকার বিজ্ঞাপন হতো সাধারণ মানুষের হাতে হাতে পৌঁছানোর মাধ্যম।
  • ফ্লায়ার ও পোস্টার: দোকানের সামনে, রাস্তার মোড়ে – মানুষের চোখে পড়ার মত করে ডিজাইন করা হতো।
  • রোডশো / ক্যাম্পেইন: বিভিন্ন বাজার বা হাটে গিয়ে লাইভ ডেমো দেখানো হতো, পণ্য ধরিয়ে দেওয়া হতো।
  • Word of Mouth (মুখে মুখে প্রচার): খুশি একজন গ্রাহকই হয়ে উঠতো সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তখন মার্কেটিংয়ের স্কেল ছিল সীমিত, কিন্তু একনিষ্ঠ। মূল ফোকাস ছিল পণ্যের গভীরতা বুঝিয়ে তোলা।

 

এখনকার যুগে টুলস বদলেছে, কিন্তু কন্সেপ্ট একই রয়ে গেছে

বর্তমান যুগে টুলস আমাদের হাতে অনেক বেশি – সোশ্যাল মিডিয়া, গুগল, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউব, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ইত্যাদি। কিন্তু অনেকে ভুলে যায়, মার্কেটিং মানেই টুলস নয় — এটি সঠিক বার্তা, সময়, ও দর্শকের চাহিদা বুঝে কনভার্ট করা

❗ এখনকার একটি ভুল ধারনা:

“যেহেতু আমি Facebook Boost দিতে পারি, বা Canva-তে কনটেন্ট বানাতে পারি, তাই আমি একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট।”

এই মানসিকতা অনেক ব্যবসার ক্ষতি করে। কারণ, কনটেন্ট কেবল দেখতে সুন্দর হলেই হয় না, তা হতে হবে প্রাসঙ্গিক, অনুভবযোগ্য এবং সমস্যার সমাধানমূলক।

আন্তর্জাতিক একটা ব্র্যান্ড — "Dove" এই Dove প্রথম থেকেই শুধু সাবান বিক্রি করেনি। তারা নারীদের সৌন্দর্যের প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিয়েছে – বলেছে, "You are beautiful just the way you are." এই একটি বার্তা তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে মানসিকভাবে যুক্ত করেছে। Dove-এর কনটেন্ট ছিল বাস্তব, আবেগময়, এবং একদম হৃদয়ের গভীরে পৌঁছানোর মত।

মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে হলে যা জানতে হবে:

  • 🎯 প্রোডাক্টের ডেপথ – এটি কেন ভিন্ন? সমস্যার সমাধান কোথায়?
  • 👥 অডিয়েন্সের ব্যথার জায়গা – তারা আসলে কী খুঁজছে?
  • 📊 মার্কেট অ্যানালাইসিস – প্রতিযোগী কারা? তাদের বার্তা কেমন?
  • 🧠 সাইকোলজিকাল ট্রিগার – কীভাবে দর্শকের অনুভূতির সাথে যুক্ত করা যায়?
  • 🗓️ কনটেন্ট প্ল্যান – সময়, টপিক, ট্রেন্ড সব মিলিয়ে পরিকল্পনা।
  • 📈 এক্সপেরিমেন্ট ও ট্র্যাকিং – কোনটা কাজ করছে, কোনটা নয়।

পরিশেষে একটাই কথা, আজকের যুগে শুধু "Boost" দিলেই ফল আসবে না। Content is not just King – it is the entire Kingdom now. একটি সঠিক কনটেন্ট হতে পারে আপনার ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। তাই এখন সময় এসেছে টুলস নয়, স্ট্র্যাটেজি শেখার।

 

READY TO DO THIS

Let's get to work

Get the offer
Chat
  • Laptop
  • Bill
Contact Information

Laxmipur, Rajpara
Rajshahi 6000, Bangladesh

Call Now. +8801712068404